আমি তেমন টিপস জানি না। তবে নিজে যা যা বিশ্বাস করি বললাম। সবকটা ফালতু মনে হতে পারে। অন্যের টিপস একদম নিজের জীবনে আপ্লাই করবেন না, নিজে যা ভালো বুঝবেন করবেন(এটাও টিপস)। কেবল আমার আগের লেখায় কয়েকজন লিখেছেন গা বাঁচিয়ে থাকতে কি করতে হয়, কতটা কতটা খর হতে হয়। তারই কিছু নমুনা দিলুম। চাইলে এক হপ্তা ধরে লিখতে পারি। অজস্র আছে।
টিপস ১
আগোছালো আলনা থেকে আগোছালো জীবন যখন কিছুতেই গুছিয়ে উঠতে পারবেন না, গোছানোর ইচ্ছেটাই বাতিল করুন, আর অন্যেরা কত ঠিকঠাক, আমি কেন এমন বলে নিজেকে দোষারোপ করবেন না। জানবেন যে যত বেশি গোছানো তার শান্তি তত কম। এই বুঝি সব ঘেঁটে গেলো এই চিন্তায় দিন কাবার।
টিপস ২
কোনও কিছু ভালো লাগলে অকপটে বলুন। তাতে নিজে ছোট হবেন না। বরং আপনার একজন বন্ধু বাড়লেও বাড়তে পারে।অনেক সময় যারা নিজেরা প্রশংসা পান তাঁরা অন্যদের প্রশংসার যোগ্য মনে করেন না। আসলে এরা ইনকনফিডেন্ট। এদের মতো হবেন না। এবং আপনার কেউ প্রশংসা করছে না ভেবে হতাশ হবেন না। ইনকনফিডেন্ট লোকেরা অন্যের প্রশংসা করতে ভয় পায়। আপনার ত্রুটি নেই।(এই লেখায় টিপস ২ অ্যাপ্লাই করা জরুরি নয়।)
টিপস ৩
বিনয়ী হোন। কিন্তু প্রয়োজনে রূঢ় কথা বলতে শিখুন। সত্যকথাও, নইলে আপনার মাথায় সবাই চেপে বসবে
টিপস ৪
সাক্রিফাইসিং, কম্প্রমাইসিং হবার লিমিট আছে। দাঁত চেপে এসব যাঁরা করেন তাঁরাও আসলে লোভী, সুনামের লোভ, দেবী হবার লোভ। একবার এই ট্রাপে পড়লে আর বেরোতে পারবেন না।
টিপস ৫
চালাক এবং স্মার্ট হবার লিমিট আছে। বেশি হবেন না। মাঝে মাঝে সারল্য প্রয়োজন।
টিপস ৬
নিজেকে অবলা, হাবাগোবা ভাবা বন্ধ করুন। এতে অনেকে আত্মতুষ্টি পায় বটে তবে দীর্ঘদিন এই অবলার ন্যাকামি করতে করতে কনফিডেন্স তলানিতে ঠেকে।এতে আখেরে ক্ষতিই হয়।
টিপস ৭
সংসার করতে না পারা থেকে চাকরি তে উন্নতি না হওয়া, সংসার ভাঙা থেকে চাকরি যাওয়া বা যৌন নিপীড়ন কোনও ক্ষেত্রেই নিজেকে ব্লেম করবেন না। আপনার অধিকাংশ সময়েই দোষ থাকে না। তা বলে নিজেকে পারফেক্টও ভাববেন না। বরং দুর্ঘটনা ঘটলে তলিয়ে ভাবার চেষ্টা করুন।
টিপস ৮
নিজেকে নিয়ে মজা করতে শিখুন। অন্যেরা তাহলে আপনাকে নিয়ে মজা করে আরাম পাবে না।
টিপস ৯
শ্বশুরবাড়ির সমস্যা সহনীয় হলে নিজে মেটান, বাপের বাড়ি এসে বলবেন না। আপনি এক বললে তাঁরা দশ ভাববেন। আপনার বাড়ির লোকেরই দুশ্চিন্তা বাড়বে। বরের কাছে কমপ্লেন করা একেবারে চলবে না।
টিপস ১০
আমার মা বলন যাঁকে খুব খারাপ লাগছে তাঁর ভালো দিকগুলো খুঁজে বের করার চেষ্টা করো। নিজে শান্তি পাবে।
টিপস ১১
কেউ অত্যধিক ঘ্যাম দেখালে আপনি একেবারে উলটো আচরণ করুন। মনে মনে অবশ্য বোকা ঘ্যামওয়ালা লোকটিকে নিয়ে মজা করতেই পারেন। প্রথম প্রথম সংস্কৃতি করলে এই টিপস মোক্ষম।
টিপস ১২
যারা গোষ্ঠী বদ্ধ হয়ে একে অপরের পিঠ চাপড়ায় তাদের দলে জোর করে ঢুকতে যাবেন না। তবে আর আপনাকে ইগনোরড হবার যন্ত্রনা সইতে হবে না।সংস্কৃতি করার এটা দ্বীতিয় টিপস।
টিপস ১৩
মানুষকে বিশ্বাস করুন। বিশেষত সহায়ককে শত্রু ভাববেন না। ভালোবাসুন প্রাণ দিয়ে। কিন্তু মনে রাখবেন অর্ডার আপনাকে দিতে জানতে হবে, তবে তার সফট পদ্ধতি খুঁজে বের করুন।
টিপস ১৪
নিজেকে সর্বজ্ঞ প্রমাণ করতে অন্যের খুঁত ধরবেন না।
টিপস ১৫
অন্যকে বদলানোর চেষ্টা করবেন না, কারণ আপনি বদলে তার মতো হবেন না।
টিপস ১৬
অন্যকে উপহার দিন মাঝে মাঝে। খুব ভালো লাগে। অন্যকেউ উপহার দিলে খুশি মনে নিন। তবে দেখবেন কোনও উপহার বোঝার মত ঘাড়ে চেপে বিসলে রিফিউজ করুন।
টিপস ১৭
সমস্ত দিক বালান্স করার চেষ্টা করবেন না উলটো ফল পাবেন
টিপস ১৮
কেউ যদি বলে একটা কথা বলব কাউকে বলবি না, প্রথমেই বলে দেবেন বলে ফেলতেও পারি। তাতে যদি কথাটা না শোনা হয় শেষ পর্যন্ত, তবুও আগ্রহে বুক ফাটিয়ে ফেলবেন না। কারণ আপনি না বললেও অন্য কেউ বললে সন্দেহের তীর থেকে আপনি বাঁচবেন না।
টিপস ১৯
অন্যের সামনে দাঁত, নাক খুঁটবেন না, থুতু ফেলবেন, ঢেকুর তুলবেন না, বাতকম্ম করবেন না, মাক্সি পরে ফেসবুকে ছবি দেবেন না। এর কথা ওকে লাগাবেন না।
টিপস ২০
নিয়মিত পুকুরঘাটে আসুন। এখানে,বোকা, অহঙ্কারী, ন্যাকা, ধান্দাবাজ, অতি চালাক এবং গোষ্ঠীবদ্ধদের চিনতে পারলেও প্রকাশ্যে গালি দেবেন না।
No comments:
Post a Comment