আপনারা অনড়। আসলে নবান্ন থেকে এন. আর. এস অথবা এন. আর. এস থেকে নবান্ন অব্দি কোনও রাস্তা নেই কেবল আছে অসীম শূন্য। আর মাঝখানে অদৃশ্য সুতোয় বেঁধে ঝুলিয়ে রেখেছেন ওদেরকে। হ্যাঁ ওরা। আমরা নই। আমরা যারা সোশ্যাল মিডিয়ায় গর্জে উঠছি, যারা বুদ্ধিজীবী, যারা সেলিব্রিটি, যারা নেতা এমনকি যারা আন্দোলনরত জুনিয়ার ডাক্তার তাঁরা বা তাঁদের স্বজনেরা,তাঁদের অধিকাংশকেই যেতে হয় না সরকারি হাসপাতালে। ওদের হয়।
ওদের যখন কেস ক্রিটিকাল হয় তখন ওদের গ্রামীণ হাসপাতাল থেকে রেফার করা হয় সদর হাসপাতালে, সদর হাসপাতাল থেকে কলকাতার সরকারি হাসপাতালে। ওরা গামছায় দুটি মুড়ি বেঁধে মুমূর্ষু মানুষটিকে পাঁজাকোলে করে ছোটে এ হাসপাতাল থেকে ও হাসপাতালে। লম্বা টিকিটের লাইন দেয়, গাছতলায় রোগীকে শুইয়ে রেখে মাথায় হাতপাখার হাওয়া দেয়, কখন ডাক আসে সেই ভয়ে হাসপাতালের বাইরে গিয়ে খাওয়া হয় না ওদের। কোকাকোলার ছিপি লাগান স্প্রাইটের বোতলে জল ভরে খায় কেবল খিদে মেটাতে। হাসপাতালে কর্মচারীদের কখন নম্বর আসবে জানতে চাইলে মুখ ঝামটা খায়, কেউ কেউ উত্তর দেবার প্রয়োজনই মনে করেন না। আবার কেউ কেউ বলে অতো তাড়া থাকলে প্রাইভেট হস্পিটালে যাও। ওরা মরিয়া হয়ে সেখানে ছোটে। যে বেলভিউয়ে, আপোলোতে আপনাদের চিকিৎসা হয় সেখানকার দরোয়ান ওদের ঢুকতেও দেয় না।
ওঁরা অবাক দৃষ্টিতে দেখে আপনারা, আমরাও কেমন ঠান্ডা মেশিন লাগান হসপিটালে ঢুকে, রোগীর জন্য একরাশ চিন্তা নিয়ে, মাথায় সানগ্লাস তুলে হসপিটাল অনুমোদিত সিসিডিতে বসে তিনশ টাকার কফি খাই।
তারপর দেখে টিকিটের নম্বর আসার আগেই গাছতলায় শুয়ে থাকা সেই স্বজন শেষ বারের মত হায় আল্লা বলছেন নয়ত হাঁ করে আছে মুখে শেষ ঢোঁক গঙ্গাজলের জন্য।
এরা প্রচন্ড ক্ষুব্ধ হয়, মনে হয় এতো অসাম্য, আমিও তো মানুষ। রাগে, দুঃখে হতাশায় ওঁরা গণপ্রহার করে। আর কাদের মারে? সেই গুটিকয় ডাক্তার নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী যাঁরা নিজেদের ক্ষমতার চেয়ে বহু,বহু গুণবেশি রোগীকে পরিসেবা দেয়। যাঁদের হাত, পা বাঁধা আপনার আমার কাছে।
যারা মারেন তাঁদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান দেন না, আমরাও ভাবি না। দেন কেবল একরাশ আশ্বাস, আর যারা মার খায় তাঁদের পরিকাঠামো দেন না, দেন অপরিসীম কাজের চাপ। মাঝখান থেকে তৈরি হয় একরাশ ভিক্টিম আর ক্রিমিনাল।
🙏🙏🙏 দুজনরাই খানিকটা করে যান না। ওই শূন্যে একখানা পথ গড়ে তুলুন না। নাই বা বাড়ালেন আর ভিক্টিম আর ক্রিমিনালের সংখ্যা।
ওদের যখন কেস ক্রিটিকাল হয় তখন ওদের গ্রামীণ হাসপাতাল থেকে রেফার করা হয় সদর হাসপাতালে, সদর হাসপাতাল থেকে কলকাতার সরকারি হাসপাতালে। ওরা গামছায় দুটি মুড়ি বেঁধে মুমূর্ষু মানুষটিকে পাঁজাকোলে করে ছোটে এ হাসপাতাল থেকে ও হাসপাতালে। লম্বা টিকিটের লাইন দেয়, গাছতলায় রোগীকে শুইয়ে রেখে মাথায় হাতপাখার হাওয়া দেয়, কখন ডাক আসে সেই ভয়ে হাসপাতালের বাইরে গিয়ে খাওয়া হয় না ওদের। কোকাকোলার ছিপি লাগান স্প্রাইটের বোতলে জল ভরে খায় কেবল খিদে মেটাতে। হাসপাতালে কর্মচারীদের কখন নম্বর আসবে জানতে চাইলে মুখ ঝামটা খায়, কেউ কেউ উত্তর দেবার প্রয়োজনই মনে করেন না। আবার কেউ কেউ বলে অতো তাড়া থাকলে প্রাইভেট হস্পিটালে যাও। ওরা মরিয়া হয়ে সেখানে ছোটে। যে বেলভিউয়ে, আপোলোতে আপনাদের চিকিৎসা হয় সেখানকার দরোয়ান ওদের ঢুকতেও দেয় না।
ওঁরা অবাক দৃষ্টিতে দেখে আপনারা, আমরাও কেমন ঠান্ডা মেশিন লাগান হসপিটালে ঢুকে, রোগীর জন্য একরাশ চিন্তা নিয়ে, মাথায় সানগ্লাস তুলে হসপিটাল অনুমোদিত সিসিডিতে বসে তিনশ টাকার কফি খাই।
তারপর দেখে টিকিটের নম্বর আসার আগেই গাছতলায় শুয়ে থাকা সেই স্বজন শেষ বারের মত হায় আল্লা বলছেন নয়ত হাঁ করে আছে মুখে শেষ ঢোঁক গঙ্গাজলের জন্য।
এরা প্রচন্ড ক্ষুব্ধ হয়, মনে হয় এতো অসাম্য, আমিও তো মানুষ। রাগে, দুঃখে হতাশায় ওঁরা গণপ্রহার করে। আর কাদের মারে? সেই গুটিকয় ডাক্তার নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী যাঁরা নিজেদের ক্ষমতার চেয়ে বহু,বহু গুণবেশি রোগীকে পরিসেবা দেয়। যাঁদের হাত, পা বাঁধা আপনার আমার কাছে।
যারা মারেন তাঁদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান দেন না, আমরাও ভাবি না। দেন কেবল একরাশ আশ্বাস, আর যারা মার খায় তাঁদের পরিকাঠামো দেন না, দেন অপরিসীম কাজের চাপ। মাঝখান থেকে তৈরি হয় একরাশ ভিক্টিম আর ক্রিমিনাল।
🙏🙏🙏 দুজনরাই খানিকটা করে যান না। ওই শূন্যে একখানা পথ গড়ে তুলুন না। নাই বা বাড়ালেন আর ভিক্টিম আর ক্রিমিনালের সংখ্যা।
No comments:
Post a Comment